বাদল আহাম্মদ খান আখাউড়া থেকে:
“সীমান্ত পাখি রক্ষা সংগঠণ”আখাউড়া পূর্বাঞ্চলের একটি ব্যতিক্রমী পাখি সুরক্ষা সংগঠণ হিসেবে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে, সংগঠণটির আহ্বায়ক তোফায়েল চৌধূরীর উদ্যোগে তার সহপাঠি বন্ধুদের সমন্বয়ে গড়ে তোলে সীমান্ত পাখি রক্ষা সংগঠণ।
পূর্বাঞ্চলের গাছে গাছে দেখা মেলে কলসে পাখির বাসা, এসব কলস নিজ খরচে স্থাপন করেন তোফায়েল ও তার বন্ধুরা।
গাছে গাছে পাখি এবং বন্যপ্রাণী শিকার না করার জন্য সচেতনতা মূলক ব্যানার,ফেস্টুন ও বিভিন্ন নির্দেশনা মূলক পোষ্টার টানিয়ে বেশ সাড়া পেয়েছেন তিনি।
আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুড়ে তিনি পাখি ও বন্যপ্রাণী শিকারীদের ও তরুণদের বিভিন্ন ভাবে সচেতন করছেন যেন কেউ পাখি শিকার না করেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে লাগাচ্ছেন পাখি শিকার না করার জন্য সচেতনতা মূলক স্টিকার। তার এসব কর্মকান্ডে পাখিরা নিরাপদ ভাবে বসবাস করতে পারবে আমাদের প্রকৃতিতে বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা।
সংগঠনটির উপদেষ্ঠা বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি ও রাবেয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগান এবং রাবেয়া খাতুন চ্যারিটি ট্রাষ্টের প্রতিষ্ঠাতা এড.আকসির এম চৌধুরী বলেন, তোফায়েল ও তার বন্ধুদের এ উদ্যোগটি প্রশংসনীয়। তারা যে কাজটি করে যাচ্ছে তা সবার দ্বারা সম্ভব নয়। এমন উদ্যোগে আমরা তাদের কে উৎসাহিত করা দরকার যেন প্রকৃতি রক্ষার এই যোদ্ধ থেকে তারা পিছুনা হটে৷ আমি সংগঠনটির উপদেষ্ঠা হিসেবে তাদেরকে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করে যাচ্ছি। সাজের সকল স্থরের মানুষের এসব ব্যপারে সহযোগিতা করা প্রয়োজন।
তোফায়েল চৌধুরী বলেন, এমন উদ্যোগ কেউ নিতে চায়না খরচ বেশি সেজন্য, কিন্তু আমি নিয়েছি খরচের চিন্তা করিনি কারণ পাখি আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক, পাখি আমাদের পরিবেশকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলে, পাখি শিকার করা বন্ধ করতে যা যা প্রয়োজন আমি করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি।