আফরোজা রশীদ ঢালী— কসবা টিভি পরিচালক ও কসবা উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি একের পর এক সামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এমন দুর্দিনে খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী অসহায়দের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ তালিকায় পিছিয়ে নেই তিনি। একের পর এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন। তিনি পাশে দাঁড়িয়েছেন বহু অসহায় মানুষের। ঠিক একইভাবে কাজ করছেন খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী।
অসুস্থ অবস্থায় এক বৃদ্ধ কসবা উপজেলার এক অন্ধকার বিল্ডিএর বারেন্দায় পড়েছিলেন। গতকাল ২৭জুন সোমবার বিকালে শরফিুল ইসলাম ভুইয়া ও জমির মিয়া মোবাইলে সংবাদ জানানোর পর ছুটে চলেন ঘটনাস্থলে। ওই অসুস্থ বৃদ্ধকে কসবা হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেছেন খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী। সাংবাদিক ঢালীসহ স্থানীয়দের সহযোগিতায় ও চেষ্টায় সেই বৃদ্ধকে কসবা উপজেলা স্বাস্ধ্যকমপ্রেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। আর সেখানেই তার চিকিৎসা শুরু হয়। সমুন নামে একজনকে তার দেখা শুনার করার জন্য একজনকে দায়িত্ব প্রদান করেন।
খবরটি সোশ্যাল মিডিয়া কসবা টিভিতে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই সহযোগিতার হাত বাড়ানোর জন্য ফোন দেন সাংবাদিক খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালীকে।কিন্ত তিনি সোজাসাফটা বলেন প্রয়োজন হলে জানানো হবে। আবাদত আমরাই দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছি।এই বৃদ্ধ লোকটি খুবই অভিমানী মনে হয়েছিল। সাংবাদিক ঢালী তার চিকিৎসাসহ দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানালে তিনি বার বার একটি কথা আমিএখানে থেকে মরে যাবো কিন্ত হাসপাতালে যাবো না। সাংবাদিক ঢালী এই বৃদ্ধ পিতার চিকিৎসাসহ হাসপাতালে নেওয়ার বিষয়ে দৃঢ় থাকায় তাকে এম্বুলেন্স এনে অসুস্থ্য বৃদ্ধকে নিজেসহ অন্যদের সহযোগিতায় ট্রলিতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই অভিমানী বৃদ্ধ তার নাম নাম আলীম মিয়া অবশেষে জানান। তার গ্রামের বাড়ি বাঞ্জছারামপুর উপজেলার বাসিন্দা। ছেলে মেয়েদের তথ্য জানতে চাইলে নি:স্বাস ফেলে চুপ হয়ে যান।আজ তিন মাস ধরে কসবায় কৃষি গোডাউনের বারেন্দায় পুকামাকড়ে ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দিন রাত্রি যাপন করেন। বৃদ্ধবাবা আলীম মিয়া গ্রামের বাড়ির লোকজনের ঠিাকানা না দেওয়ায় তাদেরকে খবর দেওয়ার মত তথ্য খোঁজে পাইনি। কসবা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাক্তার অরুপ পালের সহযোগিতায় আর এম্বুলেন্স পাঠানোর ফলে বৃদ্ধ আলীমকে হাসপাতালে চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে।