আফরোজা রশীদ ঢালী:
সুপ্রিয় দর্শক কিছু কথা আপনাদেরকে বলে রাখি- পত্রিকার পাতায় গতানুগতিক অপরাধের পাশাপাশি সম্পর্কজনিত জটিলতা থেকে খুব কাছের মানুষের হাতে খুন হয়ে যাওয়ার ঘটনাও আজকাল প্রায়ই দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে পরকীয়ার জেরে নিজের লুকানো সম্পর্ক জেনে ফেলায় অনেক jহত্যার কথা শুনেছি। বন্ধু বন্ধুকে হত্যা করে থাকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই হত্যাকাণ্ড আবেগবশত হঠাৎ করে ঘটিয়ে ফেলা হত্যা নয়; রীতিমতো পরিকল্পনা করে আটঘাট বেঁধেই হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটানো হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, মানি বা না মানি, পরকীয়া একধরনের সম্পর্ক। আইনি, সামাজিক বা ধর্মীয় কারণগুলো এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে কাজ করে। কিন্তু আবেগ আর শারীরিক আকর্ষণের কাছে বাধাগুলো পরাজিত হয় বলেই মানুষ পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। তাই নিজের সেই বিশেষ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে সেই কাছের মানুষকে সরিয়ে দিতেও যখন কেউ দ্বিধা করেন না, তখনই তাঁরা সংবাদের শিরোনাম হয়ে যান। এমনি একটি ঘটনার বিষয় নিয়ে আজকের প্রতিবেদন। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লা জেলার বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকায়। আর নিহত হওয়া ব্যক্তির বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্জারামপুর থানার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের ভুরভরিয়া গ্রামের পিতা মৃত আবুল হোসেন মোল্লার ছেলে মো: সজীব মোল্লা। নিহত সজীব মোল্লা পেশা একজন রাজমিস্ত্রী। সেই সুবাদে কাজের সন্ধানে যে সংবাদ দেন তখনি ছুটে চলেন। এই বিষয়টি জানতে আমরা সরেজমিনে গিয়েছিলাম। মামলার বাদী ,এলাকাবাসী,নিহতর স্ত্রী তিন সন্তানেরজননী তহিদা,মা সামছুর নাহার জানান এবং সেই গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করছি। এরেই মাঝে ঘটনাটি জানতে বাঙ্গরা বাজার থানায় গিয়ে ছিলাম। কিন্ত বিশেষ কাজে বাহিরে থাকায় ওসি সহ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে না পাওয়ার ফলে মোবাইলে জানতে চাইলে তারা জানান হত্যার মামলাটি অগ্রগতি সহ ২জন গ্রেফতার হয়েছে অবশিষ্টদের গ্রেফতারের তৎপরতা চলছে। ব্র্হ্মণবাড়িয়ার বাঞ্জারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের ভুরভুরিয়া গ্রামের সাকিব এক মহিলার সাথে পরকিয়ার ঘটনায় জানা হলে মো:সজীব মোল্লার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে অবশেষে হাসানের অটো রিক্সা দিয়ে নিয়ে গত ১৯মে ২০২২ইং রাত প্রায় ৯টায় ইন্দুরিয়া ব্রীজের উওর পাশে শানু হাজীর পুকুর পাড় কাগাতুয়া নামকস্থানে হাত পায়ের রগ কেটে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়। ভাগ্যক্রমে ঘটনা জানতে পেরে সজীব মোল্লাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে রেওয়ার পথে মারা যায়। এই ঘটনায় বাঙ্গরা বাজার থানায় মামলা করা হয় এবং সাকিব ও হাসান নামে দুইজন গ্রেফতার হয়েছে। জুলহাস সহ গং আসামীরা পলাতক রয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে আসামী পক্ষরা সজীব হত্যার মামলা তুলে নিতে বাংবার হুমকি দিচ্ছি। না হলে সজীবেরর মত হত্যাকান্ড আবারও ঘটনানো হবে। এই হত্যার বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন মামলার বাদি মোজাম্মেল হক ডালিম। এক কথা হাসানের পরকিয়া অবশেষে বলি হলো রাজমিস্ত্রী মো: সজিব মোল্লা। দেশের আইনমন্ত্রীর কাছে নিহতর স্ত্রী,মা, পরিবার পরিজন সজীব হত্যার বিচারসহ অবশিষ্ট আসামীদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন।